শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২১

ফুসফুসের এনাটমি এবং ফিজিওলজি : শ্বাসতন্ত্রের মানচিত্র ও আবহাওয়া

 ফুসফুস এনাটমি এবং ফিজিওলজি বিষয়টি সাধারণতঃ ডাক্তারদের পাঠ্য বস্তু। কিন্তু সাধারণ মানুষও যদ্দুর সম্ভভ বিষযটি জেনে রাখতে পারেন। করোনা মহামারি বিশ্বকে নাড়িয়ে দিল। শ্বাসতন্ত্রের রোগ কি ভয়াবহ ব্যাপার সেটি টের পেতে কারুরই বাকী নেই। বিশ্বজুড়ে শারীরিক অসুস্থতা এবং অকাল প্রয়াণের একটি অন্যতম কারণ শ্বাসযন্ত্রটির বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি।এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য যক্ষা, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং করোনা জাতীয় মহামারি, নিউমোনিয়া।  এই রোগগুলোর আলাপই বারবার ঘুরে ফিরে আসে এলার্জি, এ্যাজমা, সিওপিডি রোগের প্রাদুর্ভাবও প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ধারণা করা হয়, ২০২৫ সাল নাগাদ বিশ্বে মোট ধূমপায়ীর সংখ্যা দেড় বিলিয়ান বৃদ্ধি পাবে। ফলাফলে, বিশ্বে ধূমপান জনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগও বেড়ে যাবে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে।

বুধবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২১

সিওপিডি : সিগারেট-বিলাসীদের ব্যাধি ( পরিচিতি, কারণ ও বৈশিষ্ট্য)

 আধুনিক মানুষের শ্বাসতন্ত্রের অন্যতম একটি জটিলতা “ ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারী ডিজিজ ” বা সিওপিডি। বাংলায় বলতে পারেন, যে রোগের কারণে দীর্ঘমেয়াদে শ্বাসতন্ত্রের কার্যব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। সংজ্ঞানুযায়ী, সিওপিডি একটি প্রতিরোধযোগ্য এবং নিরমায়যোগ্য ব্যাধি। এর বৈশিষ্ট্য হল, শ্বাসযন্ত্রের বায়ুবহনে নিরন্তর সীমাবদ্ধতার সৃষ্টি করা। রোগটি প্রগ্রেসিভ। অর্থাৎ, শ্বাসতন্ত্রে সীমাবদ্ধতা সৃ্ষ্টির বিষয়টি সময়ের সাথে বাড়তে থাকে। যত দিন যায়, ফুসফুসও ততই বিভিন্ন বিষাক্ত বস্তুকণা এবং গ্যাসের প্রতি অধিক সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। এগুলোর সংস্পর্শে আসলেই ক্রনিক প্রদাহের মাত্রা বেড়ে যায়। কোন কোন রোগীর ক্ষেত্রে সিওপিডি তীব্র রূপ ধারণ করে। বিশেষ পরিস্থিতে, রোগী মারাও যেতে পারেন।

বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২১

অ্যাজমার ঔষধপত্র : চিকিৎসার ৫টি ধাপ

 এ্যাজমা একটি ক্রনিক রোগ। তবে উপযুক্ত চিকিৎসা কাজ করে বটে। অধিকাংশ অ্যাজমা রোগীই সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে সুস্থ জীবন যাপন করতে পারেন। চিকিৎসার মূল লক্ষ্য রোগের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা। তবে পরিস্থিতি এবং রোগী অনুযায়ী এই লক্ষ্যের পরিবর্তন হতে পারে। এখানে একটি দুর্ভাগ্যজনক বিষয় পর্যবেক্ষণ করা যায়। বেশীর ভাগ সমীক্ষাতেই দেখা গেছে যে, রোগীরা বলছেন চিকিৎসা সত্ত্বেও রোগের ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তারা সন্তুষ্ট নন। বাস্তবতার সাথে রোগী ও চিকিৎসক উভয়ের প্রত্যাশার পার্থক্যই হয়তো প্রতিফলিত হয় সমীক্ষার এহেন ফলাফলে।

সোমবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২১

এ্যজমা বিষয়ে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা : রোগের কারণ, লক্ষণ ও রোগ নির্ণয়

 এ্যাজমা শ্বাসতন্ত্রের একটি রোগ। শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজনিত কারণে এ্যাজমা হয়ে থাকে। এই প্রদাহের প্রকৃতি ‘ক্রনিক’। অর্থাৎ, প্রদাহটি আকস্মিক নয়। সদা সর্বদাই বিদ্যমান। দেহব্যাবস্থার বিভিন্ন কোষ এবং কোষীয় উপাদান এ্যাজমায় ভূমিকা রাখে। শ্বাসতন্ত্রের অতিরিক্ত সংবেদনশীলতার সাথে এ্যজমার ক্রনিক প্রদাহটির যোগসাজশ রয়েছে। এ্যাজমা রোগীদের প্রায় সময়েই “ হুয়িজিং” বা শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে তীক্ষ্ন বাঁশির মত শব্দ, শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ এবং কাশির সমস্যায় ভুগতে হয়। বিশেষ করে রাতের শেষাংশে এবং সকালের প্রথম অংশে এসব উপসর্গগুলো প্রকট রূপ নেয়। ফুসফুস তার স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিভিন্ন প্রকার বাঁধার সম্মুখীন হওয়ায় এই সমস্যাগুলোতে ভুগে থাকেন এ্যাজমার রোগীরা। এই প্রতিবন্ধতাগুলো অধিকাংশ সময়ই স্থায়ী কিছু নয়। যেভাবে প্রকাশ পায়, সেভাবে নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যায়। আর না হলে, চিকিৎসার মাধ্যমে সারিয়ে তোলা যায়।

বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২১

জিনতত্ত্ব বা জেনেটিক্স : বংশাণুবিজ্ঞানের ৬টি প্রধান প্রসঙ্গ

 চিকিৎসাবিজ্ঞানে জিনতত্ত্বের গুরুত্ব প্রতিদিনই বাড়ছে। আগামী দিনগুলোতে জিন ভিত্তিক প্রযুক্তি চিকিৎসা বিজ্ঞানের জগতে বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলবে এমন সম্ভাবনা দেখা যায়। জিনতত্ত্বের প্রধান প্রসঙ্গগুলো এখানে একত্রিত করা হল।



জিন : ডিএনএ, ক্রোমাটিন এবং ক্রোমোজোম

 ➕ জিন হচ্ছে কিছু কার্যকরী একক (functional units) যারা একটি double stranded deoxyriboneucleic acid (DNA) - মাঝে সংকেত হিসেবে লিপিবদ্ধ থাকে , ক্রমোজোম হিসেবে একত্রে সন্নিবিষ্ট হয় এবং অবস্থান নেয়  l কোষের নিউক্লিয়াসের ভেতর : nucleus কোষের ভেতর একটি ঝিল্লী-বদ্ধ অঞ্চল যেটি erythrocyte এবং platelet ব্যাতীত সবধরণের কোষেই পাওয়া যায় 

ঔষধ কিভাবে কাজ করে : ফার্মাকোলজির ৬টি আলোচনা


ঔষধ কিভাবে কাজ করে? চিকিৎসা বিজ্ঞানে দুটি প্রসঙ্গের অবতারণা ঘটিয়ে এই প্রশ্নের উত্তর দেয়।  একটি হচ্ছে “ ফার্মাকোডিনামিক্স ”- অর্থাৎ ড্রাগটি মানব শরীরে কি করে অন্য বিষয়টি “ ফার্মাকোকাইনেটিক্স” - অর্থাৎ মানবদেহ ড্রাগের প্রতি কি আচরণ করে এই নিবন্ধের আলোচনা মূলতঃ সাধারণ প্রচলিত ড্রাগগুলিকে নিয়ে আমাদের দৈনন্দিন ব্যাবহারের এসব ড্রাগের বেশীরভাগই কৃত্রিম ভাবে উৎপন্ন ক্ষুদ্র অণু (synthetic small moelcules.)।


বুধবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২১

ই-সি-জি বা ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম কি? ইসিজি রিপোর্টের অর্থগুলো জেনে নিন

 


ইলেকট্রেকার্ডিওগ্রাম ( Electrocardiogram) কি?

কার্ডিয়াক রিদাম বা হৃদপিন্ডের সাধারণ ছন্দ এবং কন্ডাকশান বা বৈদ্যুতিক সংকেতের দিক বিষয়ে স্পষ্ট  ধারণা  পাওয়ার জন্য ইলেকট্রেকার্ডিওগ্রাম করা হয়।মায়োলকার্ডিয়াল ইশকেমিয়া এবং ইনফার্কশানের ডায়াগনোসিসে এটিই প্রধান পরীক্ষা। 

হৃদযন্ত্র বিষয়ে ৬ টি জরুরী আলোচনা ( নার্ভ-সাপ্লাই, ফিজিওলজি, কার্ডিয়াক পেপটাইডস)

হৃৎযন্ত্রটি বেশ ভালোভাবেই চলছে বলেই এই পোস্ট পড়তে পাচ্ছেন। সেজন্য অভিনন্দন। অনেক মানুষের বেলায়ই এটি সত্য নয়। বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে দেখা গেছে পৃথিবীতে অকাল মৃত্যুর অন্যতম কারণ হৃৎযন্ত্রের রোগব্যাধি। সুস্থ থাকতে থাকতেই আপনার হৃদয় যন্ত্র বিষয়ে এই কথাগুলো জেনে রাখুন 



শনিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২১

যে ৫ টি খনিজ উপাদানের ঘাটতি-বাড়তি দুটোই বিপদজনক

শর্করা, আমিষ, চর্বি। এসব আমাদের খাদ্যতালিকার অর্গানিক এলিমেন্ট। বা জৈব উপাদান। একইরকম ভাবে কিছু অজৈব উপাদান বা ইনঅর্গানিক এলিমেন্টও রয়েছে, যেগুলি আমাদের খাদ্য তালিকায় থাকা অনিবার্য। এই খনিজ উপাদানগুলোর ঘাটতি বা বাড়তি, দুই প্রকারেই শরীরে নানান উপসর্গের সৃষ্টি হয়।



 অনেক মানুষ নিজে নিজে, চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যাতীতই, এসব উপাদানের সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করে থাকেন। যেটি অবশ্যই বিপদজনক। তাছাড়া শরীরে আগে থেকে অস্তিত্বমান রোগ ব্যাধির কারণেও এসব খনিজ অনেক সময় ঠিক মত শোষণ হতে পারে না। অনেকক্ষেত্রে শরীর থেকে নিষ্কাশনও হয় না যথাযথ রূপে। যেমন আয়রন বা লৌহের আধিক্যে হিমোক্রোমাটোসিস বা হিমোসিডারোসিস হয়। ফ্লোরাইড থেকে ফ্লুরোসিস।

 ল্যাবের পরীক্ষায় এসব খনিজের যে মাত্রা নির্ণয় করা যায় সেখান থেকে খাদ্যে সঠিক পরিমাণে এই উপাদানগুলি গ্রহণ করা হচ্ছে কি না, সেটি নিশ্চিত করা মুশকিল। যেকারণে খাদ্য তালিকার সরাসরি মূল্যায়ন জরুরী।

 

শুক্রবার, ১ জানুয়ারি, ২০২১

জ্বর কি? জ্বরের চিকিৎসা এবং ১১টি ল্যাব টেস্ট

 


শীতের সময়টাই জ্বর-সর্দি-কাশির। সাধারণতঃ ভাইরাস ঘটিত জ্বর বা ভাইরাল ফিভার পাঁচ দিনের মাঝেই সেরে যায়। করোনা ভাইরাসের জ্বরও পাঁচ দিনের বেশী থাকে না। তবে জ্বরের সময়কাল এর চেয়ে দীর্ঘ হলেই নানান ধরণের জটিলতা সৃষ্টি হয়। তাছাড়া এক সপ্তাহ’র অধিক জ্বর, জ্বরের সাথে অন্যান্য উপসর্গ থাকার অর্থ সাধারণ ভাইরাসের চেয়েও বিপদজনক কোন কারণ হয়তো বিদ্যমান। জ্বর বিষয়ে কিছু সাধারণ তথ্য জেনে রাখা যায়। কারণ, রোগী নিজের রোগ সমন্ধে যত স্পষ্ট ধারণা রাখেন, তার চিকিৎসা ফলপ্রসূ হওয়ার সম্ভাবনাও ততই বাড়ে। 

 

নিউরোলজির বিভিন্ন পরীক্ষা নীরিক্ষা

  লোকালাইজিং   লেশান্স   ইন দি সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম - ( সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমে ক্ষত বা লেশানের অবস্থান নির্ণয় )   রোগীর হিস্ট্রি নি...