কোভিড-১৯ এর বাজারে নতুন আতঙ্ক ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’। ইদানীংকালে ভারতে এই ফাঙ্গাসের সংক্রমণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দিল্লী এবং মহারাষ্ট্রে কোভিড-১৯ থেকে সেরে উঠছেন এমন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী ফাঙ্গাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। রোগীদের অনেকেই এই সংক্রমণের কারণে চোখ হারিয়েছেন। কারও ক্ষেত্রে চোয়ালের হাড় অপসারণ করতে হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রান্তদের মৃত্যুহার শতকরা ৫০ শতাংশ।
আমাদের দেশেও যেহেতু ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের ভাইরাস পাওয়া গেছে, অনেকেই তাই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে আতঙ্কিত। যদিও ভ্যারিয়েন্টের সাথে ফাঙ্গাসের 'প্রত্যক্ষ' সম্পর্ক নেই। এই ফাঙ্গাস একটি ভয়ঙ্কর বিষয় বটে। কিন্তু আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নয়। সব কোভিড-১৯ রোগীই যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হবেন এমন না। এবং আরেকটি ভালো জিনিস হচ্ছে ফাঙ্গাসটি ছোঁয়াচে নয়। এটি মানুষে-মানুষে বা প্রাণী থেকে মানুষে ছড়ায় এমন কোন জীবাণুঘটিত বিষয় নয়। সঠিক তথ্য় ও জ্ঞানই এই সমস্যার বিরুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের বিষয়ে এই পর্যন্ত পাওয়া সমস্ত তথ্যের ভিত্তিতে দেখে নেয়া যাক - এটি কি, কাদের হয়, কিভাবে একে প্রতিরোধ করা যায় এবং কেউ যদি একান্তই আক্রান্ত হয়ে যান তাহলে কি চিকিৎসা দেয়া হবে।
আরও পড়ুন : করোনা আক্রান্ত ফুসফুসের স্বাস্থ্য পুরুদ্ধারের উপায়
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কি?
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস একটি ছত্রাক ঘটিত রোগ। ডাক্তাররা বলেন “ মিউকরমাইকোসিস”। আগে নাম ছিল জাইগোমাইকেোসিস। এই ছত্রাকের সংক্রমণ অত্যন্ত গুরুতর রূপ নেয়। কিন্তু একই সাথে সংক্রমণটি অত্যান্ত বিরলও। যে মোল্ড বা ছত্রাক দিয়ে সংক্রমণটি হয়, তাদের নাম মিউকরমাইকোসাইট। এই ছত্রাকগুলো পরিবেশে বসবাস করে। মূলতঃ যাদের আগে থেকেই কোন স্বাস্থ্য সমস্যা আছে, বা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এমন কোন ঔষধ যারা নিয়মিত গ্রহণ করছেন তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি হতে পারে। মলূতঃ আমাদের নাকের দুই পাশের সাইনাস, এবং ফুসফুস আক্রান্ত হয় এই ফাঙ্গাসের মাধ্যমে। পরিবেশ থেকে শ্বাসের মাধ্যমে ফাংগাসের স্পোর গ্রহণ করার পর এই ঘটনাটা ঘটে। তবে শরীরে কেটে গেলে, পুড়ে গেলে,বা ত্বকের অন্য কোন আঘাতের পর সেখানেও সংক্রমণ হতে পারে এই ছত্রাকের।