বুধবার, ১২ মে, ২০২১

করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট : বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক মহলের বক্তব্য

  করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বা বি.১.৬১৭ এর রোগী বাংলাদেশ বেশ কয়েকজন শনাক্ত হয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে করোনার দ্বীতিয় ঢেউয়ে যে অভূতপূর্ব বিপর্যয় দেখা দিয়েছে তার মূলে এই নতুন ভাইরাসটি রয়েছে বলেই বিশেষজ্ঞদের ধারনা। বাংলাদেশে এই ভারতীয় করোনা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়া একটি অতীব দুঃসাংবাদ। আমাদের প্রতিবেশী ভারতীয়দের মত, আমরাও কমন সেন্স বা সাধারণ বোধশক্তি বিবর্জিত একটি জগতে বাস করি। অত্যান্ত দুঃখের সাথেই বলতে হয়, আগামী কয়েকদিনের মাঝেই এই ভ্যারিয়েন্ট আমাদের বাংলাদেশে বিপুল ভাবে ছড়িয়ে পড়ার একটি সম্ভাবনা রয়েছে। এই মুহুর্তে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করা ছাড়া আর কিছু করার আছে বলে মনে হয় না। স্রষ্টাকে স্মরণ করার সময়কালীন বিশ্রাম ও বিরতিতে চলুন দেখে নেই বিশ্বজুড়ে এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সর্বশেষ কি জানাচ্ছে বৈজ্ঞানিক সংস্থাগুলো।

আরও পড়ুন : ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কি? কিভাবে প্রতিরোধ করবেন? বিস্তারিত জানুন

করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট

মঙ্গলবার, ১১ মে, ২০২১

করোনায় নতুন আতঙ্ক ব্ল্যাক ফাঙ্গাস : সতর্কতা , প্রতিরোধ ও চিকিৎসা

 কোভিড-১৯ এর বাজারে নতুন আতঙ্ক ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। ইদানীংকালে ভারতে এই ফাঙ্গাসের সংক্রমণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দিল্লী এবং মহারাষ্ট্রে কোভিড-১৯ থেকে সেরে উঠছেন এমন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী ফাঙ্গাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। রোগীদের অনেকেই এই সংক্রমণের কারণে চোখ হারিয়েছেন। কারও ক্ষেত্রে চোয়ালের হাড় অপসারণ করতে হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রান্তদের মৃত্যুহার শতকরা ৫০ শতাংশ।

আমাদের দেশেও যেহেতু ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের ভাইরাস পাওয়া গেছে, অনেকেই তাই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে আতঙ্কিত। যদিও ভ্যারিয়েন্টের সাথে  ফাঙ্গাসের 'প্রত্যক্ষ' সম্পর্ক নেই।  এই ফাঙ্গাস একটি ভয়ঙ্কর বিষয় বটে। কিন্তু আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নয়। সব কোভিড-১৯ রোগীই যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হবেন এমন না। এবং আরেকটি ভালো জিনিস হচ্ছে ফাঙ্গাসটি ছোঁয়াচে নয়। এটি মানুষে-মানুষে বা প্রাণী থেকে মানুষে ছড়ায় এমন কোন জীবাণুঘটিত বিষয় নয়। সঠিক তথ্য় ও জ্ঞানই এই সমস্যার বিরুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের বিষয়ে এই পর্যন্ত পাওয়া সমস্ত তথ্যের ভিত্তিতে দেখে নেয়া যাক - এটি কি, কাদের হয়, কিভাবে একে প্রতিরোধ করা যায় এবং কেউ যদি একান্তই আক্রান্ত হয়ে যান তাহলে কি চিকিৎসা দেয়া হবে।

আরও পড়ুন : করোনা আক্রান্ত ফুসফুসের স্বাস্থ্য পুরুদ্ধারের উপায়

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কি?

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস একটি ছত্রাক ঘটিত রোগ। ডাক্তাররা বলেন মিউকরমাইকোসিস। আগে নাম ছিল জাইগোমাইকেোসিস। এই ছত্রাকের সংক্রমণ অত্যন্ত গুরুতর রূপ নেয়। কিন্তু একই সাথে সংক্রমণটি অত্যান্ত বিরলও। যে মোল্ড বা ছত্রাক দিয়ে সংক্রমণটি হয়, তাদের নাম  মিউকরমাইকোসাইট। এই ছত্রাকগুলো পরিবেশে বসবাস করে। মূলতঃ যাদের আগে থেকেই কোন স্বাস্থ্য সমস্যা আছে, বা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এমন কোন ঔষধ যারা নিয়মিত গ্রহণ করছেন তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি হতে পারে। মলূতঃ আমাদের নাকের দুই পাশের সাইনাস, ‌এবং ফুসফুস আক্রান্ত হয় এই ফাঙ্গাসের মাধ্যমে। পরিবেশ থেকে শ্বাসের মাধ্যমে ফাংগাসের স্পোর গ্রহণ করার পর এই ঘটনাটা ঘটে। তবে শরীরে কেটে গেলে, পুড়ে গেলে,বা ত্বকের অন্য কোন আঘাতের পর সেখানেও সংক্রমণ হতে পারে এই ছত্রাকের।

কোভিড-১৯ রোগীদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণে

রবিবার, ৯ মে, ২০২১

কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিবে যে ৬টি মসলা

  রোনা আক্রান্ত দেশগুলো নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে একটি গবেষণা করা হয়েছিল। বিশ্বময় ১৬৩ টি দেশকে বেছে নেন গবেষকগণ। দেশগুলো থেকে কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট মোট মৃত্যু, মোট আক্রান্ত রোগী, এবং রোগ থেকে সেরে ওঠা মানুষদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এই সময় প্রতি মিলিয়ান জনসংখ্যয় শনাক্ত করা মোট কোভিড-১৯ কেস এবং মাথপিছু মসলা গ্রহণের মাঝে একটি সম্পর্ক দেখতে পান বিজ্ঞানীরা। খাদ্য তালিকায় নিয়মিত নির্দিষ্ট কিছু মসলার ব্যবহার করছেন এমন গোষ্ঠীগুলোতে কোভিডের কম প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যায়।(সূত্র)

 কোভিড-১৯ এবং মসলার রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা নিয়ে বিশ্বজুড়ে গবেষণা চলছিল এবং চলমান। অনেকগুলোর ফলাফল যথেষ্ট আশাব্যাঞ্জক। বিভিন্ন গবেষণা জার্নালের প্রতিবেদনগুলো বিবেচনা করলে, ছয়টি মসলাকে আমরা কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে সরাসরি সুরক্ষা দিতে সক্ষম হিসেবে চিহ্নিত করতে পারি। এই লেখায় মসলাগুলো কি কি এবং কিভাবে তারা সুরক্ষা দিবে সেটি উপস্থাপন করা হচ্ছে।

শুক্রবার, ৭ মে, ২০২১

অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ টীকা বিষয়ক সাধারণ প্রশ্নগুলোর উত্তর

 অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিনটি ভারতীয় উপমহাদেশে কোভিশিল্ড এবং ইউরোপীয় অঞ্চলে ভ্যাক্সজেরভিয়া নামে বাজারজাতঃ করা হয়েছে। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের যে টীকা দেয়া হয়েছে সেটি কোভিশিল্ড। ভারতের সেরাম ইন্সটিউট এই কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিনটির প্রস্তুতকারক। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশান একটি “এমার্জেন্সী ইউজ লিস্টিং” জারি করে ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিনটিকে অনুমোদন দেয়।

অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন কোভিশিল্ড বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর



কোভিড-১৯ পরবর্তী দুর্বল ফুসফুসকে শক্তিশালী করার খাবার ও ব্যায়াম

বৃহস্পতিবার, ৬ মে, ২০২১

করোনা আক্রান্ত ফুসফুসকে শক্তিশালী করুন : লাং-ফুডস এবং ব্রিদিং-এক্সারসাইজ

কোভিড-১৯ মূলতঃ ফুসফুসের রোগ। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর আপনি যদি বাড়িতে চিকিৎসা নিয়েই সুস্থ হয়ে থাকেন, অর্থাৎ হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে নি, সেক্ষেত্রেও ফুসফুসের কিছু না কিছু ক্ষতি হয়ে থাকবেই। এই কারণে, কোভিড-১৯ আক্রান্তকালীন ও সেরে-ওঠা’ - দুই সময়েই ফুসফুসের প্রতি বিশেষ যত্নবান হওয়া প্রয়োজন। যেকোন প্রকার স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারকরণ প্রক্রিয়া বা রিকভারির সময়ে পুষ্টিকর প্রাকৃতিক খাবার এবং ব্যায়ামের বিকল্প নেই। এই লেখায় আমরা এই দু’টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।

কোভিড-১৯র পরে ফুসফুসের খাবার : লাং-ফুডস

 

ফুসফুসের গঠন ও কর্মক্ষমতাকে অক্ষুন্ন রাখে এমন পুষ্টি উপাদানগুলো যেসব খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে সেগুলোই লাং-ফুড বা ফুসফুসের খাবারকোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠার পর আপনার ফুসফুসের অবস্থা আগে চেয়ে কিছু হলেও দুর্বল থাকবেএই দুর্বলতা দ্রুত কাটিয়ে ওঠার জন্য দৈনন্দিন তালিকায় এই খাবারগুলো রাখতে পারেন

মঙ্গলবার, ৪ মে, ২০২১

কোভিড-১৯ চিকিৎসায় রেমডেসিভির : কিভাবে কাজ করে এবং আসলেই কতটা কার্যকর এই এন্টিভাইরাল ?

 কোভিড-১৯ এর চিকিৎসাগুলোর মধ্যে রেমডেসিভির এর নাম সবচেয়ে বেশী শোনা যায় ইদানীং। করোনার আগ্রাসন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে - এমন দেশগুলোতে, এক ভায়াল রেমডেসিভির যোগাঢ় করতে মানুষ কি করছেন, কি ধরণের হেনস্থার স্বীকার হচ্ছেন সেসবের হৃদয়বিদারক গল্প ইন্টারনেটে ভেসে বেড়াচ্ছে। বিকল্প পথে রেমডেসিভির যোগাঢ় করতে গিয়ে অনেকেই বিপুল পরিমাণ টাকা পয়সাও খরচ করে ফেলছেন।

কিন্তু আসলেই কি রেমডিসিভির কোন মহৌষধ? রেমডেসিভির (Remdesivir) জিনিসটা আসলে কি? শোনা-কথা ও কল্প-কাহিনী নয়,বরঙ তথ্য ও বিজ্ঞানের ভিত্তিতে বিবেচনা করুন। এই লেখায় আমরা রেমডেসিভির বিষয়ে কিছু বাস্তব ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করলাম। 

করোনা ভাইরাস থেকে সেরে ওঠার পর কিভাবে জীবনযাপন করবেন -জানতে পড়ুন

রেমডেসিভির কি ? 

রেমডেসিভির (Remdesivir) একটি নিউক্লিওটাইড ড্রাগ। অর্থাৎ, ডিএনএ-আরএনএর গাঠনিক অণু থেকে ড্রাগটি তৈরী করা হয়। রেমডেসিভির  একটি প্রোড্রাগ : শরীরে প্রবেশের পর ড্রাগটি সরাসরি কাজ করে না। প্রাথমিক একটি বিপাকীয় প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তাকে যেতে হয়। বিপাকলব্ধ রূপটিই শরীরে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে। রেমডেসিভির একটি ইন্ট্রাভেনাস ড্রাগ। অর্থাৎ, শিরাপথে প্রয়োগ করা হয় এই ঔষধটি।

করোনা চিকিৎসায় রেমডেসিভির

রবিবার, ২ মে, ২০২১

কোভিড-১৯ পরবর্তী শরীরের যত্ন : করোনা ভাইরাস মুক্ত হওয়ার পর যা খাবেন, যেভাবে চলবেন - ১০ টি পরামর্শ

ধরে নিচ্ছি, সাম্প্রতিক সময়ে আপনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এবং আপনি ভাগ্যবানদের একজন। করোনা ভাইরাসের হাত থেকে থেকে বেঁচে ফিরেছেন। কিন্তু কোভিড-১৯ টেস্টে নেগেটিভ আসা মানেই সব বিপদ কেটে যাওয়া নয়। একটি মারাত্নক যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে আপনার শরীরের ভেতর। এই যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেহকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজন বিশেষ যত্নের।

কোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠার পর, অধিকাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরী হয়ে যায়। এই অ্যান্টিবডির গুণে আপনি একইরকম করোনা ভাইরাস দিয়ে হয়তো আর আক্রান্ত হবেন না। তবে এই ইমিউনিটি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। এমনকি টিকা নিয়ে যাদের শরীরে অ্যান্টিবডি গঠন হয়েছে, তারাও তো আক্রান্ত হচ্ছেন। এসবের মূলে কারণ, করোনা ভাইরাসটি অসম্ভব রকমের পরিবর্তনপ্রবণ। প্রতিবারই নতুন ও আগ্রাসী রূপে সে হাজির হয়। সুতরাং, করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত আর সব বিষয়ের মত, এই সেরে ওঠা আর আবারও আক্রান্ত না হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যায় না।

করোনা মোকাবেলায় রেমডেসিভির কতটা কার্যকরী - জানতে পড়ুন

কোভিড-১৯ পরবর্তী যত্ন

এতদসত্ত্বেও, কোভিড-১৯ নেগেটিভ হওয়ার পরবর্তী সময়টাতে কিছু নির্দিষ্ট নিয়মকানুন মেনে চললে, আপনি শরীরকে দ্রুত আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে পারবেন। এই লেখায় সেই সমন্ধে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করছি আমরা।

 শ্বাসকষ্টের রোগ অ্যাজমা : রোগের পরিচিতি

নিউরোলজির বিভিন্ন পরীক্ষা নীরিক্ষা

  লোকালাইজিং   লেশান্স   ইন দি সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম - ( সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমে ক্ষত বা লেশানের অবস্থান নির্ণয় )   রোগীর হিস্ট্রি নি...