কোভিড-১৯ মূলতঃ ফুসফুসের রোগ। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর আপনি যদি বাড়িতে চিকিৎসা নিয়েই সুস্থ হয়ে থাকেন, অর্থাৎ হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে নি, সেক্ষেত্রেও ফুসফুসের কিছু না কিছু ক্ষতি হয়ে থাকবেই। এই কারণে, কোভিড-১৯ আক্রান্তকালীন ও সেরে-ওঠা’ - দুই সময়েই ফুসফুসের প্রতি বিশেষ যত্নবান হওয়া প্রয়োজন। যেকোন প্রকার স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারকরণ প্রক্রিয়া বা রিকভারির সময়ে পুষ্টিকর প্রাকৃতিক খাবার এবং ব্যায়ামের বিকল্প নেই। এই লেখায় আমরা এই দু’টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
কোভিড-১৯’র পরে ফুসফুসের খাবার : লাং-ফুডস
ফুসফুসের গঠন ও কর্মক্ষমতাকে অক্ষুন্ন রাখে এমন পুষ্টি উপাদানগুলো যেসব খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে সেগুলোই লাং-ফুড বা ফুসফুসের খাবার। কোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠার পর আপনার ফুসফুসের অবস্থা আগে চেয়ে কিছু হলেও দুর্বল থাকবে। এই দুর্বলতা দ্রুত কাটিয়ে ওঠার জন্য দৈনন্দিন তালিকায় এই খাবারগুলো রাখতে পারেন।
আরও পড়তে পারেন : অক্সফোর্ডের টীকা নিয়ে কয়েকটি সাধারণ জিজ্ঞাসা
বিট : বিট একটি চমৎকার খাবার। রং এবং রূপেও বেশ মনোহর। বিটের মূল এবং সবুজ অংশ ফুসফুসের জন্য খুবই ভালো । বিটে বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান থাকে, যেগুলি ফুসফুসের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়। বিটরুট আর বিটের সবুজ অংশে প্রচুর পরিমাণ নাইট্রেট থাকে। ফুসফুসকে শক্তিশালী করতে নাইট্রেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নাইট্রেটগুলো বিভিন্ন রক্তনালীকে শিথিল করে। অতিরিক্ত রক্তচাপকেও প্রশমিত করতে পারে এই উপাদানটি। বিটে থাকা নাইট্রেট শরীরের অক্সিজেন গ্রহণের ক্ষমতাকেও বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া বিটের সবুজ অংশে থাকে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি এবং ক্য়ারটেনয়েড।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, বিটরুটের সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করে সিওপিডি (শ্বাস প্রশ্বাসের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী একটি রোগ) রোগীদের ফুসফুসের অবস্থার উন্নতি করা সম্ভব। এছাড়া পালমোনারী হাইপারটেনশানে ফুসফুসে অস্বাভাবিক অতিরিক্ত রক্তচাপের সৃষ্টি হয়। এই অবস্থাকেও প্রশমিত করতে পারে নিয়মিত বিটের ব্যবহার।
কোভিড-১৯ এর পরে, বা আক্রান্ত থাকা অবস্থাতেও ফুসফুসের এই ধরণের দুর্বলতা এবং প্রতিবন্ধকতা দেখা যায়। বিটের জুস বা সালাদ ব্যবহার করে এক্ষেত্রে রোগী উপকার পেতে পারেন।
- আপেল : নিয়মিত আপেল খেলে ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। এটি একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে। কোভিড-১৯ এ ফুসফুসের যে ক্ষতি হয় সেটি মূলতঃ প্রদাহজনিত কারণে। একই রকম প্রদাহজনিত ক্ষতি দেখা যায়, যারা দীর্ঘদিন ধূমপান করেন তাদের ক্ষেত্রেও। প্রাক্তন ধূমপায়ী, যারা নিয়মিত আপেল খেয়ে থাকেন, তারা ফুসফুসকে আগের চেয়ে ভাল অবস্থায় নিয়ে যেতে পেরেছেন - এমনটা দেখা গেছে গবেষণায়। তাছাড়া, সপ্তাহে পাঁচটি বা তার বেশী আপেল খাদ্যতালিকায় রাখেন, এমন মানুষদের ফুসফুসের কার্যক্ষমতা সাধারণতঃ বেশী থাকে, এবং সিওপিডির সম্ভাবনাও তাদের কম। সুতরাং, কোভিড-১৯ পরবর্তী ফুসফুসের যত্নের আপেল নিশ্চই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এছাড়াও, আপেল খাওয়ার সাথে অ্যাজমা এবং লাং ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রশমনের একটি সম্পর্ক লক্ষ্য করেছেন গবেষকরা। এর কারণ সম্ভবতঃ আপেলে থাকা বিপুল পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যার মধ্যে আছে ফ্ল্যাভনয়েড এবং ভিটামিন-সি।
- কুমড়া : কুমড়ায় ফুসফুসের উপকারী অনেক ধরণের উদ্ভিজ্জ উপাদান থাকে। ক্যারটেনয়েড - বিটা ক্যারোটিন, লুটিন এবং জিয়াজ্যানথিনের প্রাচুর্য থাকে কুমড়াতে। এগুলি প্রতিটিই শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। প্রদাহের প্রশমনের যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে এই উপাদানগুলোর।
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বয়স যেমনই হোক, রক্তে ক্যারটিনয়েডের মাত্রা বেশী থাকলে ফুসফুসের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। কোভিড-১৯ আক্রান্ত ফুসফুসকে পুনরুদ্ধার করার জন্য আপনার সাপ্তাহিক খাদ্য তালিকায় কুমড়া রাখুন।
- টমেটো : করোনা আক্রান্ত ফুসফুসকে ঠিক করতে টমেটো খান। নিয়মিত টমোটো খাওয়া শুধু ফুসফুস নয়, গোটা শরীরের জন্য়ই উপকারী। টমেটোতে লাইকোপেন নামক পুষ্টি উপাদানটির সবচেয়ে চমৎকার প্রাকৃতিক উৎস। লাইকোপেন একটি ক্যারটিনয়েড অক্সিডেন্ট। ফুসফুসের গঠন ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে এই অক্সিডেন্টটি অত্যান্ত কার্যকর।
অ্যাজমা রোগীদের শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে পারে টমেটো। সিওপিডি রোগীদের ফুসফুসের কর্মক্ষমতা উন্নত করতেও টমেটো সাহায্য করে। সুতরাং, কোভিড-১৯ পরবর্তী ফুসফুসকে পুনরুদ্ধারে টমেটো কার্যকরি ভূমিকা রাখতে পারবে।
- ডাল জাতীয় খাবার : ডাল জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান থাকে যেগুলি ফুসফুসের অত্যান্ত উপকারী, যেমন ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, কপার এবং পটাশিয়াম। ডাল জাতীয় খাবারের প্রাচুর্য আছে এমন ডায়েটগুলো ফুসফুসের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে সেটি একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। তাছাড়া ফাইবার সমৃদ্ধ ডাল, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং সিওপিডির বিরুদ্ধে সুরক্ষা তো দেয়ই। তাই, কোভিড-১৯ এর পরে বা করোনা আক্রান্ত অবস্থায় ডাল জাতীয় খাবার বেশী খান। ডাল প্রোটিনেরও চমৎকার উৎস। কোভিড-১৯ জনিত দেহক্ষয় পূরণেও ডাল ভূমিকা রাখে।
করোনার চিকিৎসা বিষয়ে আমেরিকান লাং-এসোসিয়েশানের বক্তব্য
কোভিড-১৯’ সময়কার ফুসফুসের ব্যায়াম : ব্রিদিং এক্সারসাইজ
যে করোনা ভাইরাসটি দিয়ে কোভিড-১৯ হয়ে থাকে, প্রাথমিকভাবে সেটি ফুসফুস এবং শ্বাসতন্ত্রকেই আক্রমণ করে। এর ফলে ফুসফুসের উল্লেখযোগ্য ক্ষতিসাধন হয়। কোভিড-১৯ প্রায় সময়ই গুরুতর নিউমোনিয়ায় রূপ নেয়। এমন কি কিছু ক্ষেত্রে একিউট রেসপিরোটোরি ডিস্ট্রেস সিনড্রোম বা এ-আর-ডি-এস (ফুসফুসের কর্মক্ষমতা নূন্যতম পর্যায়ে হ্রাস পাওয়া এবং তীব্র শ্বাসকষ্ট) -এর সৃষ্টি হয়। এ-আর-ডি-এস একটি মারাত্নক অবস্থা। রোগীর ফুসফুসের অত্যান্ত লক্ষণীয় ক্ষত তৈরী করে দেয়। এই অবস্থা থেকে ফুসফুসকে পুরুদ্ধার করা সম্ভব। কিন্তু সেটি একদিনে পারবেন না রোগী। সংক্রমণ সেরে যাওয়ার পরে, মাস কয়েকের চিকিৎসা এবং ফুসফুসের ব্যায়ামের মাধ্যমে আগের অবস্থায় ফিরতে হবে।
ফুসফুসের গঠন ও কর্মকৌশল : এনটামি ও ফিজিওলজি জানতে পড়ুন
ব্রিদিং এক্সারসাইজগুলোর উপকারিতা :
গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস ডায়াফ্রামের কর্মক্ষমতা আগের অবস্থায় নিয়ে যেতে পারে। একইসাথে লাং ক্যাপাসিটি বা ফুসফুসের মোট বাতাস ধারণের ক্ষমতাকেও বৃদ্ধি করতে পারে। কোভিড-১৯ পরবর্তী ফুসফুসের ব্যায়ামের উদ্দেশ্য হচ্ছে যেকোন কাজ করার সময়ই যেন আপনি গভীর ও পূর্ণ শ্বাস নিতে পারেন। শুধুমাত্র বিশ্রামরত অবস্থায় গভীর শ্বাস নিতে পারাই যথেষ্ট নয়।
গভীর শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়ামের আরেকটি সুবিধা হচ্ছে, দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ কমায়। কোভিড-১৯ এর গুরুতর উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার অভিজ্ঞতাটি অবশ্যই মর্মান্তিক। এই মানসিক দুর্দশা থেকে সেরে ওঠার ক্ষেত্রেও ব্রিদিং এক্সারসাইজ আপনার কাজে আসবে। ডিপ ব্রিদিঙের কৌশলগুলো থেকে যে কেউ উপকার পেতে পারেন। তবে কোভিড-১৯’এ ভুগেছেন এমন রোগীদের জন্য এটি স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ার একটি জরুরী অংশ। বাড়িতে আইসোলেশানে থাকার সময়ই এই এক্সারসাইজগুলি যে কেউ শুরু করতে পারেন।
সতর্কতা : যদি নীচের সমস্যাগুলো আপনার থাকে, তাহলে ব্যায়াম শুরু না করাই ভালো। এক্ষেত্রে ডাক্তারের শরাপন্ন হোন। সমস্যাগুলো হচ্ছে :
- যদি আপনার জ্বর থাকে।
- বিশ্রাম অবস্থাতেও যদি আপনার শ্বাসকষ্ট থাকে, বা শ্বাসের ক্ষেত্রে সমস্যা অনুভব করেন
- আপনার যদি বুকে ব্যাথা থাকে বা বুক ‘ধড়ফড়’ বা প্যালপিটেশান বোধ করেন।
- নতুন করে যদি পায়ে পানি এসে থাকে
ব্যায়াম শুরু করার পর যদি নীচের সমস্যাগুলোর কোনটি বোধ করেন, তো তৎক্ষণাৎ ব্যায়াম বন্ধ করুন :
- মাথায় ঝিমঝিম ভাব
- স্বাভাবিকের চেয়ে শ্বাস প্রশ্বাসের মাত্রা কমে গেলে
- বুকে ব্যাথা
- হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসলে
- শরীরে অতিরিক্ত জড়তা ও ম্যাজম্যাজে ভাব অনুভব করলে
- হার্টবিট অনিয়মিত হয়ে গেলে
এসব সমস্যার যেকোনটি অনুভব করলে ব্যায়াম থামিয়ে দিন। বিশ্রাম নিন কিছুক্ষণ। যদি দেখা যায়, তারপরও খারাপ লাগার ভাবটি কমছে না তাহলে সাহায্যের সন্ধান করুন।
ফুসফুসের ব্যায়াম : পেটের পেশী ও ডায়াফ্রামের মাধ্যমে শ্বাসপ্রশ্বাসকে নিয়ন্ত্রণ
গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামগুলো ডায়াফ্রামকে ব্যবহার করে ফুসফুসের ফাংশানকে আগের অবস্থায় নিয়ে যায়। মুখ বন্ধ করে, শুধুমাত্র নাক দিয়ে নিশ্বাস নেয়া ও ছাড়ার মাধ্যমে ডায়াফ্রাম শক্তিশালী করা যায়। কিছুক্ষণ এভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণে, স্নায়ুতন্ত্র শিথিল হয় এবং নিজেকে পুনরায় বিন্যস্ত করতে পারে।
কোভিড-১৯ এর মত একটি কঠিন রেসপিরেটোরি অসুখ থেকে সেরে ওঠার সময়, তাড়াহুড়ো করে কিছু করতে পারবেন না। পরিমিত ও নিয়মিত জীবনচর্চার মাধ্যমে আগের অবস্থায় আসতে হবে। এই জন্য ব্রিদিং এক্সারসাইজগুলোকে এখানে কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ করা হল। পর্যায়-১ দিয়ে শুরু করুন। পর্যায়-১ এর এক্সারসাইজে যখন আপনার কাছে যথেষ্ট সহজ হয়ে যাবে, তখনই একমাত্র পরবর্তী পর্যায়ের ব্যায়াম করবেন।
বর্তমান মহামরি নিয়ে ওয়ার্লড হেলথ অর্গানাইজেশানের পরামর্শ
পর্যায়-১ : পিঠের ওপর শুয়ে গভীর শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম :
- পিঠ মেঝেতে বা বিছানায় রেখে সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন
- পা দুটি একসাথে করে হাঁটুতে ভাঙুন। আপনার পায়ের পাতা এখন মেঝে বা বিছানাকে স্পর্শ করছে
- দুই হাতের পাতা পেটের ওপর রাখুন। চাইলে শরীরের সমান্তরাল করে দুই পাশে রাখতে পারেন।
- মুখ সম্পূর্ণ বন্ধ রাখুন
- জিহ্বা দিয়ে মুখের ভেতরের ওপরে অংশ স্পর্শ করুন
- এবার নাক দিয়ে বাতাস টেনে নিন,
- যেখানে হাত রেখেছেন সেই পেটের প্রতি মনযোগ রাখুন। পেট এমনিই ভেতরের দিকে ঢুকে যাবে শ্বাস গ্রহণের সময়। নিজে থেকে পেটের পেশীকে টানার দরকার নেই।
- এবার ধীরে ধীরে নাকের মাধ্যমে শ্বাস ছাড়তে থাকুন
- এক মিনিট এভাবে গভীর শ্বাস নিন ও ছেড়ে দিন। দিনে তিন থেকে চারবার এই ব্যায়ামটি করতে পারে। এক মিনিটে অভ্যাস্ত হয়ে গেলে পাঁচ মিনিট-দশ মিনিট পর্যন্ত বাড়াতে পারেন।
পর্যায়-২ : পেটের ওপর শুয়ে গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম
- পেটের ওপর অর্থাৎ উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন
- দুই হাত একসাথে করে, তার ওপর মাথা রাখুন। তাতে শ্বাস প্রশ্বাসের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা পাবেন। মুখ যেহেতু মেঝের দিকে থাকবে, জায়গাটা পরিষ্কার হওয়ার জরুরী।
- মুখ বন্ধ করুন। জিহ্বা দিয়ে মুখের ভেতরের ওপরের অংশ স্পর্শ করুন।
- নাক দিয়ে বাতাস টেনে নিন। আগের মত পেটের প্রতি মনযোগ দিন। এই ব্যায়ামের সময় পেটের পেশী মধ্যাকর্ষণের বিপরীতে রয়েছে বিধায় বিষয়টি প্রথম ব্যায়ামটির তুলনায় কঠিন হবে।
- ধীরে ধীরে নাক দিয়ে শ্বাস ছেড়ে দিন।
- কয়েকবার গভীর শ্বাস প্রশ্বাসের পুনরাবৃত্তি করুন। এক মিনিট ধরে ব্যায়ামটি করুন দিনে কয়েকবার। পরবর্তীতে সময় বাড়াতে পারেন।
পর্যায় ৩ : বসে থাকা অবস্থায় শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম
- একটি বিছানা বা শক্ত চেয়ারে পিঠ সোজা করে বসুন
- পেটের দুই পাশে দুই হাত রাখুন
- মুখ বন্ধ করে জিহ্বা দিয়ে ভেতরকার ওপরের অংশ স্পর্শ করুন
- নাক এবং পেট দিয়ে শ্বাস টেনে নিন।
- ধীর লয়ে নাক দিয়ে শ্বাস ছাড়তে থাকুন।
- এক মিনিট এভাবে গভীর শ্বাস প্রশ্বাস চর্চা করুন।
পর্যায় ৪ : দাড়ানো অবস্থায় শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম
- সোজা হয়ে দাড়ান। দুই হাত পেটের দুই পাশে রাখুন।
- আগের মতই মুখ বন্ধ করে জিহ্বা দিয়ে ওপরের অংশ স্পর্শ করুন
- নাক এবং পেট দিয়ে শ্বাস টেনে নিন।
- শ্বাস নেয়ার সাথে তাল মিলিয়ে দুই হাতের আঙুলগুলো প্রসারিত করার চেষ্টা করুন
- ধীরে ধীরে নাক দিয়ে শ্বাস ত্যাগ করুন
- এক মিনিট ধরে এভাবে শ্বাস-প্রশ্বাসের পুনরাবৃত্তি করুন।
করোনা আক্রান্ত ফুসফুস-কে সুস্থ করে তোলার জন্য ফুসফুসের উপকারী খাবার এবং ফুসফুসের ব্যায়ামগুলো আপনার খুবই কাজে আসবে। গুরুতর বা সিভিয়ার কোভিড-১৯, অর্থাৎ যেখানে নিউমোনিয়ার যোগ ছিল, সেরকম একটি অবস্থা থেকে ফুসফুসকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে কমপক্ষে তিন মাস লাগবে (যাদের অন্যান্য় শারীরিক জটিলতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে আরও বেশী সময়)। তবে, নিয়মিত খাবার এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনি এই সময়টিকে কমিয়ে আনতে পারেন।
কোভিড-১৯ পরবর্তী শরীরের যত্ন : ১০টি পরামর্শ


কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন